বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০১৪

আঁধার-বসন্ত

April 12, 2014 at 1:54am

আঁধার-বসন্ত

            - রাকিব হাসান 
আঁধার রাতের আকাশ তুমি
তুমি ই সন্ধ্যা তারা;
তোমার ঠোঁটেই নিত্য চুমি
দিন যে হলো সারা ।

হাসনা-হেনা ফুলের বাসে
গন্ধ তোমার খুঁজি;
চোখের তারাই পদ্ম ভাসে
আসবে তুমি বুঝি ?

বসন্তের এই শেষ হাওয়াতে
উড়ছে রংগীন ঘুড়ি;
শিমুল ফুলের রং মাখাতে
মেঘ চলেছে উড়ি ।

সব বিরহ যাচ্ছি সয়ে
একলা তোমার আমি;
কাল-বোশেখীর ঝাপটা হয়ে
জানি এবার আসবে তুমি ।

> কালের রাখাল 

মহাকাশের সেই তারাটি

March 31, 2014 at 12:28am

মহাকাশের সেই তারাটি

               - রাকিব হাসান 
মনে আমার দাগ কেটেছে
মহাকাশের একটি তারা
লক্ষ তারার ভিড়ের মাঝে
তার বিহনে পাগল-পারা

আনমনেতে হঠাত দেখি
জ্বলছে সে আজ মিটিমিটি
সেই তারাটা- এইতো একি!
আমার চোখের সেই তারাটি

মনে আমার দাগ কেটেছে
মহাকাশের সেই তারাটি.…

কুশি হব

ফেসবুক থেকে... 


কুশি হব

    - রাকিব হাসান 

আমি অনিন্দ্য পত্র-পল্লবের

চিরসবুজতম কুশি হব

শুধু তুমি হও

নিঃশব্দে বয়ে যাওয়া সাদা-মেঘ

আধখানি রুপালী চাদের শুভ্র আলো

সর্ষে ক্ষেতের হলদে প্রজাপতি

তবে

আমি আবার 

শুধু তোমাকে ভালবেসে

অনিন্দ্য পত্র-পল্লবের 

চিরসবুজতম কুশি হব



> কালের রাখাল



এলোকেশী বৈশাখ

গতকাল দুপুরে হঠাত আসা বৈশাখী ঝড়ের সময় লেখা, ইন্টারনেটের ডাটা শেষ হয়ে যাওয়ায় পোস্ট করতে পারি নি তাই আজ করলাম। 

এলোকেশী বৈশাখ 
- খন্দকার রাকিব হাসান 

ধূসর-নীলে আজ লেগেছে 
কাল-বোশেখীর নাড়া; 
কালচে-মেঘের লালচে ধোয়ায় 
দিগন্ত দেয় সাড়া। 

রুদ্র-হাওয়া টানছে তামুক 
পর্বত-সম পেশী; 
মেঘের পিঠে মারছে চাবুক 
উন্মাদ এলোকেশী। 

ঝড়ের তোড়ে নতজানু হয়ে 
কাঁপছে বৃক্ষ-রাজি; 
মেঘদল তাই বিদ্যুৎ ভয়ে 
কাঁদছে আকাশে বাজি। 

আর কেঁদোনা মেঘের-মাসী 
দেখ 
ফিরেছে কৃষকের মুখে হাসি। 

ঘুম-স্বপ্ন-বিলাপ...


মা-খালা-দাদীদের মুখে শুনতাম ভোর বেলার স্বপ্ন নাকি সত্য হয় ! 
তবে আমার ক্ষেত্রে সচরাচর ভোর বেলাটা জেগেই কেটে যায় । যার দরুণ স্বপ্ন বস্তু টা আমার ঠিক দেখা হয়ে ওঠেনা । যা দেখি তা সাধারণত জেগেই । 
ভুল-ভবিষ্যত যদিবা কখনো ঘুম-স্বপ্ন দেখেও ফেলি তা যেন ভুলে যাই প্রায় ঘুম ভাংবার আগেই । 
কিন্তু আজ কেন যেন ভুলতেই পারছিনা । 

ভোর ৪.৩০ হঠাত কেমন যেন ঘুম-ঘুম লাগছিল, ঘুমিয়েও পড়লাম যেন তৎক্ষণাৎ ।
দেখলাম আমার ক'জন বন্ধুরা বেশ ছুটোছুটি করছে । কোন একটা বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজনে তারা বেশ ব্যস্ত ।
আমার আব্বাকে দেখলাম নূতন একটা পাঞ্জাবী পরে অতিশয় আতিশয্যে সহাস্য-বদনে পান চিবোচ্ছেন  ।
আমার ভাগ্নীদ্বয় অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে আমার তাকিয়ে কি যেন একটা দেখছে !

সহসা আমার ভাইয়া তার থুতনি-সংশ্লিষ্ট কেশরাজিতে হাত বুলাতে বুলাতে এসে আমাকে জানালো,
"চল আর দেরি করা যাবেনা গাড়ি এসে গেছে"
অতঃপর দেখলাম আমি সুলজ্জিত-চরণে অতিভদ্র বালকের মত অতিমাত্রায় ফুল দ্বারা সজ্জিত একটা গাড়িতে গিয়ে উঠলাম ।
এরপর দেখিলাম একজন টুপি পরিহিত রবীন্দ্রনাথ আমার দক্ষিণহস্ত ধরিয়া কি জানি বুলি আওড়াচ্ছেন !
আমাকে চারিদিক থেকে ঘিরে ধরে আমারি বন্ধু-আত্মীয় এবং কিছু অপরিচিত সুসজ্জিত নারী-পুরুষ সোৎসাহে দাঁড়িয়ে আছেন ।
বলাই বাহুল্য আমাকে একটা কলম ধরাইয়া বলা হইল স্বাক্ষর করিতে । আমিও সাগ্রহের সাথে অতীব-যত্নে মোটা একটা বইএর পাতায় নিজ নাম লিখে দিলাম ।

আরো বেশ কিছু আনুষ্ঠানিকতা হল ফাস্ট-ফরোয়ার্ড মুডে, কিছুই মনে নেই ।
কিছুক্ষণ পর স্লো-মোশনে দেখলাম আমি একখানা কিঞ্চিত সোনালী রঙের পাঞ্জাবী পরিয়া বেনারসী শাড়ী পরিহিতা (নারী সদৃশ) একজনের দক্ষিণ পাশে বসে আছি ।
ঘোমটা অতিমাত্রায় টানা থাকবার কারনে নিকটবর্তীর বদন খানি দেখা যাচ্ছে না ।
অতঃপর সু-কৌশলে আমার হাতের রুমাল খানা নিচে ফেলে দিয়ে দেখবার চেষ্টা করতেই হুড়মুড় করে পড়ে গেলাম !
উপরে তাকাইয়া দেখলাম অন্ধকার । আমি খাট থেকে পড়ে গিয়েছি ।
উঠে বাতি জালিয়ে দেখলাম ৫.৪৫ বাজে ।

আফসোস ললনার বদন খানা দেখিতে পাইলাম না !

তবে এটুকুই সান্ত্বনা যে, সে যে একজন ললনা ই ছিল এ ব্যাপারে তো নিশ্চিত হয়া গেল ! (দস্তানা ২ থেকে তো রক্ষে পেলাম মেয়েটা তথৈবচ)

আজকাল যা দিন পড়েছে :P 

(বিঃ দ্রঃ স্বেচ্ছা-সৃষ্ট গুরুচন্ডালী ভুল নয় )